Thank you for trying Sticky AMP!!

মাদক ও ধূমপান আসক্তির বড় কারণ বন্ধুদের প্ররোচনা

মাদক মানে বিষ

তরুণদের মধ্যে ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর বিষয়ে তথ্য প্রকাশ না করার প্রবণতা বেড়েছে। কিছু তরুণ ধূমপান করার কথা বললেও প্রায় শতভাগ তরুণ মাদক নেননি বলে জানিয়েছেন। বেশির ভাগ তরুণ অসামাজিক বা অনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন।

প্রথম আলোর জরিপে অংশ নেওয়া ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা ধূমপান করেন। ২০১৭ সালে এর হার ছিল ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ। মদপান, গাঁজা সেবন, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক গ্রহণের হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে।

বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে সবচেয়ে বেশি মাদক গ্রহণ এবং ধূমপান করেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। ২৯ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ বন্ধুদের প্ররোচনায় মাদক নিয়েছেন। উঠতি তরুণেরা বন্ধুদের মাধ্যমে বেশি প্ররোচিত হয়েছেন। হতাশায় মাদক নিয়েছেন বা ধূমপান করেছেন ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণ। এ ছাড়া তরুণদের কেউ মজা করে, কেউ চাপ থেকে মুক্তি পেতে, পারিবারিক সমস্যা ভুলে থাকতে মাদক নিয়েছেন।

তবে নিজেরা মাদক নেওয়ার কথা না বললেও তরুণদের মধ্যে মাদক ও ইয়াবার ব্যবহার বাড়ছে, এ বিষয়ে জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ তরুণ একমত। জরিপে অংশ নেওয়া ৯২ শতাংশ তরুণ মনে করেন, মাদকের ব্যবহার বাড়ছে। ২০১৭ সালে ৯৫ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ মনে করেন, তরুণদের মধ্যে মাদক ও ইয়াবার ব্যবহার বাড়ছে।

জরিপে অংশ নেওয়া তরুণেরা মনে করেন, মাদকের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে স্বাস্থ্যহানি। এরপর যে বিষয়গুলোকে মাদক গ্রহণের ক্ষতিকর প্রভাব হিসেবে তরুণেরা চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অভিভাবকদের হতাশ করা ও ঝামেলায় ফেলা, পরিবার ও বন্ধুমহলে সম্মান হারিয়ে ফেলা, প্রাত্যহিক ব্যবহারে পরিবর্তন, অসুস্থতা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। এ ক্ষেত্রে এলাকা, লিঙ্গ, পেশা ও বয়সভেদে অংশগ্রহণকারীদের উত্তর ছিল একই রকম।

অসামাজিক কাজে অংশগ্রহণ কম

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা কখনো অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন কি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক উত্তর এসেছে। তবে অন্যান্য অনৈতিক কাজের তুলনায় পছন্দের ব্যক্তির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিথ্যা বলা, পর্নোগ্রাফি দেখা এবং মিথ্যা অজুহাতে পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা, এই তিনটি কাজ তরুণেরা বেশি করেছেন। তবে ২০১৭ সালের তুলনায় এবার এসব কাজে যুক্ত হওয়া তরুণের হার কমেছে।

২০১৭ ও ২০১৯ সালে জরিপের তুলনা করলে, ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর বিষয়ে তথ্য প্রকাশ না করার প্রবণতা তরুণদের মধ্যে বেড়েছে।