মা-মেয়ে খুন: দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে নৃশংসভাবে মা-মেয়েকে খুনের ঘটনায় উত্ত্যক্তকারী যুবক আবু রায়হান ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ শহীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইন উদ্দিন আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পরিকল্পিতভাবে বাসায় ঢুকে আসামিরা মেয়ে ও মাকে খুন করে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগপত্রে ৩৭ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মা-মেয়ে খুনের মামলায় দুজনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত করা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। কাল সোমবার এটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। পরে অভিযোগপত্রটি গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হবে।’

আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, মা-মেয়েকে খুনের জন্য অস্ত্র জোগাড় করতে না পেরে বন্ধু শহীদকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন রায়হান। ৫০০ টাকা দিয়ে নগরের অলংকার মোড় এলাকা থেকে একটি ছুরি এবং ২৫০ টাকা দিয়ে একটি টেঁটা কিনেন তাঁরা। পরে দুজনে মিলে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে খুন করে পালিয়ে যান।

২৪ মার্চ নগরের ডবলমুরিং আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর সড়কের এক বাসায় দিনদুপুরে ঢুকে সায়মা নাজনীন (১৮) ও তাঁর মা রিজিয়া খাতুনকে (৫০) খুন করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে সায়মার বাবা সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বাদী হয়ে নগরের ডবলমুরিং থানায় আবু রায়হানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় দু-তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সায়মা নগরের আগ্রাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। পরে পুলিশ আসামি আবু রায়হান ও তাঁর সহযোগী শহীদকে গ্রেপ্তার করে।