
পদত্যাগপত্র দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বলেছেন হাইকোর্ট। এ জন্য পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে কথা বলতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে অগ্রগতি কাল বুধবার আদালতকে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার মৌখিক এ আদেশ দেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা মুরাদ হাসানের অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ ফোনালাপ অডিও-ভিডিওর প্রসঙ্গ আদালতে তুলে ধরে সেগুলো সরানোর নির্দেশনা চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। শুনানি নিয়ে আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ্য করে ওই কথা বলেন।
পরে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা মুরাদ হাসানের ওই অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অডিও-ভিডিও বাচ্চারা শুনলে বা দেখলে তাদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের মানসিক অবক্ষয় দেখা দেবে। সমাজকে বাঁচাতে এসেছি বলে আদালতে বলেছি। যে কারণে ভাইরাল হওয়া অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানো প্রয়োজন। শুনানিতে আদালত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা মুরাদ হাসানের অশ্নীল অডিও-ভিডিও সরাতে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা কাল রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।’
অশালীন, শিষ্টাচার–বহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা অশ্লীল মন্তব্যকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যেই গতকাল ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ। তাঁর বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।