মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেনসহ বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার মেহেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মতিউর রহমানের আদালতে আত্মসমর্থন করে জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
জামিন বাতিল হওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে আরও রয়েছেন গাংনী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপির নেতা সাইদুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি কামরুল ইসলাম, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন এবং থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে গাংনী-বাঁশবাড়িয়া সড়কে গাছ কেটে সড়ক চলাচলে বাধা ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এই অভিযোগে গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরাম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় এসব নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। পরে আসামিরা এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ আজ শেষ হওয়ায় বেলা ১১টার দিকে আসামিরা মেহেরপুরের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হন। আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রথম আলোকে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি গাংনী উপজেলা নির্বাচন। এর আগে দলের শীর্ষ নেতা-কর্মীদের জামিন নামঞ্জুরের ঘটনা নির্বাচনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।