১৮ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা জজ দ্বিতীয় আদালত কার্যালয়ের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার দুদিন পর ২০ মে প্রবেশপত্র হাতে পান পরীক্ষার্থী মো. নজরুল ইসলাম। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এ ঘটনা ঘটে।
গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার মিহাজ মোল্লার ছেলে মো. নজরুল ইসলাম প্রায় এক বছর আগে ওই পদের জন্য আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ নজরুল ইসলামের বরাবর ৭ মে ডাকযোগে প্রবেশপত্রটি পাঠায়। স্বাভাবিকভাবে দু-তিন দিনের মধ্যে ওই প্রবেশপত্রটি ময়মনসিংহ থেকে গোয়ালন্দে আসার কথা। কিন্তু প্রবেশপত্রটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর ২০ মে পোস্টম্যান তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছান। তবে এই প্রবেশপত্রের চিঠি কবে গোয়ালন্দ পোস্ট অফিস গ্রহণ করেছে বা এসেছে, এ-জাতীয় কোনো ধরনের সিলমোহর ওই খামের ওপর নেই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়ার সংবাদ পাওয়ার পর থেকে তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতিতে তাঁর সব আশা ভেস্তে গেছে। তিনি বিষয়টি গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পোস্টমাস্টারের কাছে জানিয়েছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা পোস্টমাস্টার আবদুল মমিন বলেন, যদি ৭ মে ময়মনসিংহ থেকে নিয়োগপত্র ছেড়ে থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে দু-তিন দিনের মধ্যে এখানে চলে আসার কথা। কিন্তু চিঠিটি কবে এসেছে, সিলমোহর না থাকায় তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ১৪ মে এখানকার পোস্টম্যান কামরুল ইসলাম বদলি হয়ে বালিয়াকান্দিতে চলে গেছেন। এরপর এক সপ্তাহ ধরে এখানে অফিসের প্যাকারম্যান ইদ্রিস আলী পোস্টম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নতুন হওয়ায় এলাকা এখনো চিনতে পারেননি। এ ছাড়া গোটা উপজেলায় তাঁর একার পক্ষে অফিসের কাজ সেরে চিঠি বিলি করা কষ্টসাধ্য। তাই ইদ্রিস আলীকে সতর্ক করা ছাড়া তিনি এ বিষয়ে কার গাফিলতি রয়েছে, তা বলতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু নাসার উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ জেনেছি। এ বিষয়ে ডাক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি শুনবেন।’