
টানা বৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। লোহাগাড়া অংশের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা খারাপ হওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে বলে বাসচালকেরা বলছেন। এ কারণে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে আগের চেয়ে সময় বেশি লাগছে। এতে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার তেওয়ারীহাট, পুরান বিওসি, বটতলী স্টেশন, আধুনগর বাজার ও চুনতি পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অতি বর্ষণের কারণে মহাসড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর পাশের মাটি সরে গেছে।
মহাসড়কের দুরবস্থার বিষয়ে সৌদিয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কফিল উদ্দিন জানান, মাঝেমধ্যে কিছু ইট-বালু দিয়ে জোড়াতালির সংস্কার করা হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে কিছুদিনের মধ্যেই তা উঠে গিয়ে রাস্তায় আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, পর্যটনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য টেকসই সংস্কার দরকার।
কয়েকজন বাসচালক বলেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়ই গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। আগে চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় কক্সবাজার যাওয়া যেত। রাস্তা খারাপ হওয়ায় এখন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা থেকে ছয় ঘণ্টা লাগছে।
লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মামুনর রশিদ বলেন, মহাসড়কের লোহাগাড়ার অংশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে দোহাজারী সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেম উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, মহাসড়কের পটিয়া, দোহাজারী এলাকায় সংস্কার করা হয়েছে। অন্য অংশও পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।