Thank you for trying Sticky AMP!!

লোহাগড়ায় আ.লীগ নেতাসহ ৪৯ জনের নামে হত্যা মামলা

সৈয়দ মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়ার নোয়াগ্রামে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান (৪৫) খুনের ঘটনায় ৪৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে লোহাগড়া থানায় এ মামলা করেন নিহত ব্যক্তির ভাবি সাকিলা বেগম।

পুলিশ সূত্র জানায়, মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমিরকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা ওই গ্রাম ও এর পাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে নোয়াগ্রামের সৈয়দ হুমায়ুন কবির (৪২) ও শামুকখোলা গ্রামের কাজী কালামকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবেন লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমানউল্লাহ আল বারী।

গত শনিবার দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মিজানুর রহমান। মিজানুর থাকতেন কুয়েতে। টানা ১৩ বছর পর বাড়িতে আসেন এক মাস আগে। নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বুলবুল শেখ জানিয়েছেন, মিজানুর কুয়েত শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। হুকুমের আসামি সৈয়দ ফয়জুল আমির ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্র বলেছে, গত ২৪ মার্চ লোহাগড়া উপজেলার নির্বাচন হয়। নির্বাচনের আগে থেকেই ওই গ্রামে দুটি পক্ষ ছিল। একপক্ষে নেতৃত্ব দিতেন সৈয়দ ফয়জুল আমির এবং অন্যপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বুলবুল শেখ। নিহত মিজানুর রহমান বুলবুল শেখ পক্ষের। বুলবুল শেখ উপজেলা নির্বাচনে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নানের পক্ষে ছিলেন। নির্বাচনে শিকদার আবদুল হান্নানের কাছে সৈয়দ ফয়জুল আমির পরাজিত হন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এজাহারভুক্ত দুজনকে আগেই আটক করা হয়েছে। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ওই গ্রামে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।