Thank you for trying Sticky AMP!!

শেষরক্ষা হলো না রত্নার, নূর মোহাম্মদও প্রত্যাহার

ছবি: প্রথম আলো

কাশিমপুর কারাগার–১–এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারাবন্দী হল–মার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ কারাগারের কর্মকর্তার কক্ষে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর এ  নিয়ে মোট ৫ জনকে প্রত্যাহার করল কারা অধিদপ্তর।

কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরির্দশক কর্নেল মো. আবরার হোসেন প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

৬ জানুয়ারি কারা কর্মকর্তারা তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর সময় কাটানোর সুযোগ করে দেন। কারাগারের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত, তাঁদের চিহ্নিত করেছে ঘটনা তদন্তে কাজ করা দুটি কমিটি।

এর আগে যে তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর মো. আবদুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।

রত্না রায় ঘটনার জন্য জেলার নূর মোহাম্মদকে দায়ী করে একটি প্রতিবেদন কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নিজের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেননি। তিনি প্রতিবেদনে বলেন, তাঁকে না জানিয়েই জেলার এটা করেছেন। অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি রত্না রায়ের।

যদিও নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, রত্না রায়ের নির্দেশে তিনি তুষার আহমদকে ওই নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমতি দেন।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির কাছে তুষার বলেছেন যে নারীর সঙ্গে তিনি সময় কাটিয়েছেন, সেই নারী তাঁর (তুষার) দ্বিতীয় স্ত্রী।

৬ জানুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কারাগারের ভেতরে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামা পরে ঘোরাফেরা করছেন তুষার আহমদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের জামা পরা এক নারী সেখানে আসেন। এ সময় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন সেখানে ছিলেন।

দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষের দিকে যান। সেখানে ওই নারীকে সাকলায়েন স্বাগত জানান।

ফুটেজে আরও দেখা যায়, ওই নারী কক্ষে ঢোকার পর সাকলায়েন বেরিয়ে যান।

আনুমানিক ১০ মিনিট পর তুষারকে সেখানে নিয়ে যান সাকলায়েন। এর প্রায় ১০ মিনিট পর রত্না তাঁর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। দুই মিনিট পর রত্নার কক্ষের দিকে যান তুষার।

এরও দুই মিনিট পর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই নারীকে নিয়ে আবার রত্নার কক্ষে যান তুষার। যাওয়ার সময় তাঁদের হাসি-তামাশা করতে দেখা যায়। এর দুই মিনিট পর তুষার ও ওই নারী সাকলায়েনের কক্ষে ফেরেন। সেখান থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তাঁরা বের হন।