Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংসদ তাজুলকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে কুড়িগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) নবনির্বাচিত সাংসদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা জনতার ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল বাতেন, আবদুল গফুর কাজিউল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন, আনিছুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান মণ্ডলের উত্তরের রণাঙ্গন বইয়ের ১৯৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতন ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৭১ সালের ৯ জুন তাঁর নেতৃত্বে কাঠালবাড়ী এলাকায় ৩৫ জন মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে সদর উপজেলার মোগলবাসা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ডোমাস চন্দ্র ও আবদুল করিমকে ধরে এনে হত্যার অভিযোগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই সাংসদ তাজুলের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, তাজুল ইসলাম দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন। কুড়িগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ এমন একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে সাংসদ হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। এ কারণে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।