Thank you for trying Sticky AMP!!

১৮ অক্টোবর থেকে তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় আইএসপিএবি

ছবি: রয়টার্স

ঝুলন্ত কেব্‌ল (তার) অপসারণের প্রতিবাদে আগামী রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট ও কেব্‌ল টিভি (ডিশ) সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে আইএসপিএবি ও কোয়াব। সংগঠন দুটির দুজন নেতা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকার অথবা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী রোববার থেকে তারা কর্মসূচি পালন করবে।

এদিকে কোনো কোনো ইন্টারনেট সেবাদাতা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের সেবা বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে ই-মেইল ও খুদে বার্তা পাঠানো শুরু করেছে। যেমন আজ লিংক-৩ টেকনোলজি গ্রাহকদের ই-মেইল পাঠিয়ে আগামী রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানায়।

গত ৫ আগস্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাস্তার ওপরে ঝুলে থাকা তার অপসারণে অভিযান পরিচালনা করছে। সংস্থাটির ভাষ্য, করপোরেশন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে তাদের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। যাঁরা এই ব্যবসা করছেন তাঁরা কেউ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেননি। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি ৪৮টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮৫টি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলন্ত কেব্‌ল অপসারণ করেছে।

দক্ষিণে অভিযান চললেও উত্তর সিটিতে চিত্র ভিন্ন। উত্তরের মেয়র সেবাদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একেকটি এলাকা বা সড়ক নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে সেখানকার ঝুলন্ত তার অপসারণ করছে। উত্তরে ইতিমধ্যে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি সড়ক ও গুলশান অ্যাভিনিউ সড়কের দুই পাশের ঝুলন্ত কেব্‌ল অপসারণ করা হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেব্‌ল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ঝুলন্ত কেব্‌ল কাটায় তাঁদের আনুমানিক ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাটির নিচ দিয়ে কেব্‌ল নেওয়ার স্থায়ী ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত কেব্‌ল অপসারণ করা যাবে না।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম এ হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। কারণ, এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন বা সরকারি অন্য কোনো সংস্থা তাদের দাবি–দাওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।