ইসমাইল হোসেন ওরফে নিরবের মরদেহ আজ তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম বনগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানিতে পড়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই নিরব মারা গেছে।
ইসমাইল হোসেন নিরবের চাচা সোহরাব আলী প্রথম আলোকে জানান, এ ঘটনায় তাঁরা কোনো মামলা করবেন না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেই সরাসরি নিরবের মরদেহ মাদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। রাজধানীর শ্যামপুরের পালপাড়ায় যেখানে নিরবের পরিবার থাকত, সেখানে মরদেহ নেওয়া হবে না। নিরবের মা নাজমা বেগমসহ পরিবারের অপর সদস্যরা আগেই মাদারিপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুরের পালপাড়ায় খেলার সময় হঠাৎ করেই একটি খোলা ও গভীর নালায় পড়ে যায় নিরব। পানির তোড়ে ভেসে যেতে থাকে সে। প্রায় চার ঘণ্টা পর এক মাইল দূরে বুড়িগঙ্গা নদীতে নালার মুখ থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। এর আগেই নিভে গেছে পাঁচ বছরের ইসমাইলের জীবনপ্রদীপ।
পানিতে পড়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই নিরবের মৃত্যু হয়
পানিতে পড়ার আধা ঘণ্টা বা ৩০ মিনিটের মধ্যেই নিরবের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরবের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী আবু সামা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নিরবের পরিবার জানায়, আগামী বছরের জানুয়ারি, ঠিক আগামী মাসেই পাঁচ বছরের এই শিশুটির স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। সে মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
নিরবের জন্ম মাদারিপুরে। জন্মের পরই রাজধানীর শ্যামপুরের পালপাড়ায় বরইতলায় চলে আসে নিরবের পরিবার। এখানে নিরবের বেড়ে ওঠা। খেলার সঙ্গী-স্থানীয় শিশুরা। বাসার আশপাশেই খেলা করত সে। দূরে কোথাও যেত না। গতকাল মঙ্গলবার পৌনে চারটার দিকে নিবর বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই পরিবারের লোকজন নিরবের নালায় পড়ে যাওয়ার খবর পায়।
শ্যামপুরের পালপাড়ায় বরইতলায় সবুজ নামের একজন কাছ থেকে টিনশেডের একটি ঘর এক বছর আগে ভাড়া নেয় নিরবের বাবা রেজাউল ইসলাম ও মা নাজমা বেগম। তাঁদের বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে ওই নালা।