'ঐশী তাঁর মা-বাবাকে খুন করেছে, বিশ্বাস করি না'

ঐশী
ঐশী

পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার বাদী ও ঐশীর চাচা মশিহুর রহমান বলেছেন, ঐশী তাঁর মা-বাবাকে খুন করেছে, এটা তিনি বিশ্বাস করেন না।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামি ঐশীর পক্ষে আইনজীবীরা মশিহুর রহমানকে জেরা করেন। আসামিপক্ষের জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ১১ আগস্ট আসামিকে জেরার জন্য দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরায় মশিহুর রহমান বলেন, ‘ঐশী তাঁর মা-বাবাকে খুন করেছে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’ মাহফুজুরের ভাই মশিহুর রহমান আদালতকে বলেন, মাহফুজুর রহমান পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত ছিলেন। কোনো দুষ্কৃতকারী তাঁকে খুন করে থাকতে পারে।
সাক্ষ্য গ্রহণের আগে কারাগারে আটক ঐশীসহ অন্য দুই আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান ওরফে জনি ও মিজানুর রহমান ওরফে রনিকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ ঐশীর পক্ষে আংশিক জেরা করা হয়।
গত ৬ মে ঐশীসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এই ঘটনায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার ওরফে সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে শিশু আইনের পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে শিশু আইনে বিচার চলছে। ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই মামলায় খাদিজা আকতার জামিনে আছেন। ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

গত ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন।

গত বছরের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই মশিহুর রহমান এই মামলা করেন। গত বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ঐশী জবানবন্দি দেয়। ৫ সেপ্টেম্বর ওই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।