Thank you for trying Sticky AMP!!

'যাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন'

‘ধানের শীষের নেতা–কর্মীদের এখনো সময় আছে, নৌকার পক্ষে কাজ করেন। আপনারা যদি ভালো চান, সুস্থ থাকতে চান, ভালোভাবে এলাকায় বাস করতে চান, তাহলে আমাদের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। যদি অন্য কোনো পথ অবলম্বন করেন, ৩০ তারিখের পরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধানের শীষের প্রার্থী বা নেতা–কর্মী ও সমর্থক কেউ কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট আপনারা দেখে নেবেন। যাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন। যাঁরা দেবেন না, তাঁরা কেন্দ্রে যাবেন না।’

শফিকুল ইসলাম

এই বক্তব্য নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের বর্তমান সাংসদ ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের। ১৭ ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের বারোঘরিয়া গ্রামে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ বক্তব্য দেন। রোববার রাতে ওই বক্তব্যের ভিডিওটি স্থানীয় সাংবাদিকদের দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ওই ভিডিও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে সাংসদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন সোমবার প্রথম আলোকে জানান, শফিকুল ইসলাম প্রতিদিন তাঁর নির্বাচনী সভায় তাঁকে ও তাঁর ভোটারদের প্রকাশ্যে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। নিরাপত্তার কারণে সব বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও ধারণ করা সম্ভব হয় না। তবে ১৭ ডিসেম্বর ছাতনীতে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিওটি তিনি তাঁর কর্মীদের মাধ্যমে হাতে পান।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণেই গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরা ভোট দিতে গেলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কী প্রয়োজন?

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়ার বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নাটোর থানাকে দেওয়া হয়েছে। তবে নাটোর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান, এ ধরনের কোনো দরখাস্ত তিনি বিকেল পর্যন্ত পাননি। 

এ প্রসঙ্গে সাংসদ শফিকুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সহযোগী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশফাকুল ইসলাম জানান, সাংসদ প্রচারণায় ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।