রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার ‘সি চিনপিং: দ্য গভর্ন্যান্স অব চায়না’ বই নিয়ে চীন-বাংলাদেশ পাঠক ফোরামের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ‍নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ঢাকা, ১১ মে
রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার ‘সি চিনপিং: দ্য গভর্ন্যান্স অব চায়না’ বই নিয়ে চীন-বাংলাদেশ পাঠক ফোরামের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ‍নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ঢাকা, ১১ মে

বাংলাদেশ রূপান্তরের ‘গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে’: চীনের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে ‍নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আশা প্রকাশ করেছেন, চীনের আধুনিকীকরণ বাংলাদেশ ও অন্যান্য গ্লোবাল সাউথের দেশের জন্য কিছু উদাহরণ হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ এই ‘গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে’ রয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সি চি নপিং: দ্য গভর্ন্যান্স অব চায়না’ বই নিয়ে চীন-বাংলাদেশ পাঠক ফোরামের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘আধুনিকীকরণ গ্লোবাল সাউথের জন্য একটি স্বাভাবিক ঘটনা। পশ্চিমা দেশগুলো শতাব্দী ধরে যা অর্জন করেছে, কয়েক দশকের মধ্যে চীন তা অর্জন করেছে।’

ইয়াও ওয়েন বলেন, দুটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে—দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা হয়েছে, যা পশ্চিমাদের আধুনিকতার তত্ত্বকে ভেঙে দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনের অনুশীলন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব আধুনিকীকরণের পথ অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ডু ঝানইউয়ান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় তাঁরা সফলভাবে ‘সি চিন পিং: দ্য গভর্ন্যান্স অব চায়না’র (প্রথম খণ্ড) বাংলা সংস্করণ বিষয়ে এই সভার আয়োজন করেছেন।

‘সি চিন পিং: দ্য গভর্ন্যান্স অব চায়না’ বই নিয়ে চীন-বাংলাদেশ পাঠক ফোরামের অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিসহ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ঢাকা, ১১ মে

বাংলাদেশ ও চীনের জনগণের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, এ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

‘সি চিন পিং: দ্য গভর্ন্যান্স অব চায়না’ বইটিতে ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ রচনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি ৪২টি ভাষার সংস্করণসহ চারটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে, যা ১৮০টির বেশি দেশে পৌঁছেছে।

অনুষ্ঠানে সিআইসিজির সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এ ছাড়া উভয় দেশের জনগণ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, সুখ, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ উপভোগ করবে।