শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্লট নিজেদের নামে করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ হয়েছে। ২৩ নভেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি হবে।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫–এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এই তারিখ ঠিক করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম জানান, এই মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি খুরশিদ আলম শেখ হাসিনার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে তিনি সাফাই সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি।

এ ছাড়া আজ শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়ার জেরা সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মামলার বাদী রাশেদুল ইসলামের জেরাও সম্পন্ন হয়েছে। জয় ও পুতুলের মামলায়ও খুরশিদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জেরা করেছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের পক্ষে জেরার সুযোগ নেই। ২৩ নভেম্বর জয় ও পুতুলের মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলায় অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক। গত ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহেনা পরিবারের পৃথক ছয়টি মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তাঁরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হলেও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে ২৭ নম্বর সেক্টরে ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার মামলায় মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৯ জন, জয়ের মামলায় ২৮ ও পুতুলের মামলায় ২৩ জন।