হামলায় ভস্মীভূত প্রথম আলো কার্যালয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ রোববার সকালে
হামলায় ভস্মীভূত প্রথম আলো কার্যালয়ে  নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ রোববার সকালে

ভস্মীভূত প্রথম আলো কার্যালয় দেখলেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যক্তিগত এবং সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে আছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এখন কত লোকের কত রকমের এজেন্ডা আছে। গন্ডগোল পাকানোর এজেন্ডা আছে। সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচনটাকে নষ্ট করার একটা চক্রান্ত আছে। এরপরও সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতায় আছে, চেষ্টা করছে।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয় পরিদর্শন করে সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন। ১৮ ডিসেম্বর রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত করা হয় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়। উপদেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দেখেন এবং প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সহমর্মিতা জানান।

এত বড় ঘটনার এক দিন পরই প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকা প্রকাশ ও অনলাইন মাধ্যম চালু করার বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠানটির দৃঢ়তা প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই (শিক্ষা) লেসনটা আমাদের নেওয়া উচিত। একটা দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বজায় রাখতে হলে আমি মনে করি মিডিয়ার একটা বড় ভূমিকা আছে। গণমাধ্যমকে আমি বলি সরকারের চোখ। তাই গণমাধ্যম যাতে ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নেওয়ার হাতিয়ার না বানানো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

দেশ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরের অন্ধকার সময় পার করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাখাওয়াত হোসেন আশা প্রকাশ করেন যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঘটনা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোও শিক্ষা নেবে। কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আর খুব বেশি নেই। রাজনৈতিক সরকার গণমাধ্যমকে দেখে রাখবে। কারও পক্ষে বা বিপক্ষে গেল কি না, সেটা দেখলে চলবে না। সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে।