আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকায় এক মানববন্ধন করে ১২–দলীয় জোট।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকায় এক মানববন্ধন করে ১২–দলীয় জোট।

মানববন্ধনে ১২–দলীয় জোটের নেতারা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় ছাড়া মাঠ ছাড়ব না

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। এবার সব সংলাপ, আলাপ-আলোচনা হবে রাজপথে।

এ জন্যই মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় ছাড়া মাঠ ছাড়ব না।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকায় এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। গ্যাস-বিদ্যুৎ-চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই জোট মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।’

এই আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ রাখা হবে উল্লেখ করে মোস্তফা জামাল হায়দার আরও বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। ১৮ মার্চ দেশের প্রতিটি মহানগরে যুগপৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সেই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানাই।’

১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হলে শুধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন পুনরায় বিবেচনার দাবি রাখে। আমরা শান্তির পক্ষে। কিন্তু সরকার অশান্তি করছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে জনগণের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। মিছিলের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আন্দোলন কর্মসূচিকে বানচাল করে দিচ্ছে।’

গণভবনে অনুষ্ঠিত কোনো সংলাপে অংশ নেবে না জানিয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, এবার সব সংলাপ, আলাপ-আলোচনা হবে রাজপথে।

সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো অভাব-অনটন নেই। তাঁরা গত ১৫ বছর হরিলুট করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
আগামী নির্বাচন পাতানো করতে খেলাধুলা শুরু হয়েছে এবং তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠন ও তাদের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব কোনো কিছুই কাজে আসবে না।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, ‘বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে সামনে আমাদের রমজানের তারাবিহ, সাহ্‌রি, ইফতার যদি বন্ধ করা হয়, জনবিস্ফোরণ ঠেকানো যাবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। এ জন্যই মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় ছাড়া মাঠ ছাড়ব না।’

এ সময় ১২–দলীয় জোটের অন্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।