
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সুযোগ কমিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি করা হয়েছে—কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে জানিয়েছে মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।
আজ মঙ্গলবার সংগঠনটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এমটব বলছে, এ ধরনের ভুল তথ্য গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ তৈরি করতে পারে।
বিবৃতিতে এমটব জানায়, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এনআইডিপ্রতি সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ৫–এ কমানোর তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। এই খবর সঠিক নয় ও বিভ্রান্তিমূলক।
নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে এমটব বলেছে, তারা মনে করে, গ্রাহক পর্যায়ে মুঠোফোনের অপব্যবহার, জালিয়াতি বা অপরাধ রোধে শুধু সিমের সংখ্যা সীমিত করা কার্যকর উপায় নয়; বরং যথাযথভাবে গ্রাহকের পরিচিতি যাচাই, তাৎক্ষণিক (রিয়েল টাইম) নজরদারি, তথ্য বিশ্লেষণ এবং উন্নত জালিয়াতি শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অনেক বেশি কার্যকর।
নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে সতর্ক করে বিবৃতিতে এমটব বলেছে, বৈধ ব্যবহারকারী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করলে, তাঁরা উল্টো অনানুষ্ঠানিক বা অনিয়ন্ত্রিত মাধ্যমের দিকে ঝুঁকতে পারেন, যা নিরাপত্তার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সংগঠনটি মনে করে, টেলিযোগাযোগ খাত গ্রাহকের অধিকার ও পছন্দের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবার অগ্রযাত্রায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।