ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন

ঢাবি অধ্যাপক নুরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

যৌন হয়রানি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁরই এক ছাত্রীর করা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তথ্যানুসন্ধান কমিটি। বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। ওই সেলকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ে অধ্যাপক নুরুলকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। গত নভেম্বরে এক ছাত্রী অধ্যাপক নুরুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এর আগে গত বছরের জানুয়ারি এবং ২০১৪ সালের মে মাসে অন্য দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তবে ওই দুইবার রহস্যজনকভাবে পার পেয়ে যান তিনি৷

গত ২৮ নভেম্বর অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী। পরদিন দুপুরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেন। এরপর ৩০ নভেম্বর সিন্ডিকেট অভিযোগ তদন্তে তথ্যানুসন্ধান কমিটি করে। আইন অনুষদের ডিন সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে জানান, সিন্ডিকেটের সভায় তথ্যানুসন্ধান কমিটি তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। প্রতিবেদনে অধ্যাপক নুরুলের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়। সিন্ডিকেট বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠিয়েছে৷ সেলকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে৷ এই সময়ে অধ্যাপক নুরুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।