নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দুই দাবি পূরণের আশ্বাসে কলমবিরতি পালন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার রাতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
অবশ্য রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় রোববার সারা দেশে বিচারকদের কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন এবং সংগঠনের পক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনা সাপেক্ষে ঘোষিত কলমবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
এর আগে দেশের সব আদালতে বিচারকের বাসস্থান ও যাতায়াতের সময় নিরাপত্তা বাহিনী নিযুক্ত করাসহ দুই দফা দাবিতে সারা দেশের বিচারকেরা রোববার থেকে একযোগে কলমবিরতি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিচারকদের দ্বিতীয় দাবি হলো, রাজশাহীর ঘটনায় বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবহেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং গ্রেপ্তার করা আসামিকে আইনবহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে অপেশাদারত্ব প্রদর্শনে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে গত বৃহস্পতিবার জেলা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাসভবনে ছুরিকাঘাতে তাঁর ১৭ বছরের ছেলে তাওসিফ রহমানকে হত্যা করা হয়। আহত হন স্ত্রী তাসমিন নাহার। এ ঘটনায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর শোক ও ক্ষোভ জানিয়েছে।
হামলাকারী লিমন মিয়া (৩৫) তাঁদের পূর্বপরিচিত। ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী লিমন আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান। এই মামলায় লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।