সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা ইউনেসকোর

সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণ হরিণ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

গত এক দশকে সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের ৪৫তম বর্ধিত সভায় গতকাল শুক্রবার সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকায় প্রশংসা করা হয়েছে।

আজ শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

শুক্রবারের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে টেকসই উন্নয়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের কর্মকাণ্ড বজায় রাখার পরামর্শ দেয় পরিষদ।

ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেসকোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা বিশ্ব ঐতিহ্য পরিষদের সব সদস্যকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগকে ইউনেসকোর প্রশংসা বিগত দেড় দশকে বৈশ্বিক জলবায়ু সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আরও একটি স্বীকৃতি।

সৌদি আরবের রিয়াদে গত শুক্রবার ইউনেসকোর ৪৫তম বর্ধিত সভায় যোগ দেয় বাংলাদেশ। এ সময় সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়

ইউনেসকোর এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংরক্ষণ প্রতিবেদন প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাতবার এই প্রতিবেদন দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।