Thank you for trying Sticky AMP!!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ড. ইউনূসের বিষয়ে আমার কিছু করার নেই: প্রধানমন্ত্রী

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস নিজেদের কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন, তাঁদের কাছেই তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ সোমবার সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিকেলে গণভবনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

বিদেশি এক সাংবাদিক প্রধামন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তাঁর এই বিজয় উদ্‌যাপনের সময় তিনি কি ড. ইউনূসকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না? এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনূসের বিষয়টা শ্রম আদালতের। তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বঞ্চিত এবং তাঁরা মামলা করেছেন। তিনি শ্রম আইন ভঙ্গ করেছেন, নিজের কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। এখানে আমার কিছু করার নেই। তাঁর ক্ষমার বিষয়ের প্রশ্ন আমার কাছে আসে না। বরং তাঁর উচিত নিজের কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’

ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বহু মানুষের দারিদ্র্যমুক্তিতে ভূমিকা রাখায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পরিচালনাকারী ‘লৌহমানবীর’ সঙ্গে তাঁকে তুলনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ চালানো সময় পুরুষ না নারী, সে চিন্তা করা উচিত নয়। একজন নারী হিসেবে তিনি কখনোই মনে করেন না তাঁর কোনো বাধা আছে। তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন। নারী একজন মা। যিনি পরিবার ও বাচ্চাদের দেখেন ও বড় করে থাকেন। মাতৃস্নেহ থেকেই তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন।

Also Read: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র দপ্তর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের একাংশ। আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি খুবই সাধারণ নারী। দেশের জনগণের জন্য দায়িত্ববোধ রয়েছে যে তাদের জন্য কাজ করতে হবে। তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে। তিনি সেটা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ভারতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ির সুশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশবিষয়ক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশকে লক্ষ্য ধরে তরুণ জনগোষ্ঠীকে ভবিষ্যতের জন্য সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন।

এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) সাংবাদিক অশোকা রাজের প্রশ্ন ছিল, আগামী পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য কী? নির্বাচনে জয়ের পরে ভারত থেকে বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে কী ধরনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত বাংলাদেশের বড় বন্ধু। ১৯৭৫ এ তাঁর পরিবারকে হত্যার পর ভারত তাঁকে ও তাঁর বোনকে আশ্রয় দিয়েছিল। যদিও কিছু সমস্যা আছে কিন্তু সেটা দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করা হয়। এ ছাড়া সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশের নীতি।

Also Read: ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে আসা একজন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন ভালো হয়েছে—এটা বলার জন্য ওই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কী বলবেন, এটা আপনার দেশের (যুক্তরাষ্ট্র) চেয়ে ভালো নির্বাচন কি না?’

মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চমৎকার। তারা তাঁর কথা শোনে। তবে কিছু বিরোধী আছে। সেটা খুব স্বাভাবিক। তিনি প্রতিশোধ পরায়ন নন। তিনি কখনো কারও ওপর প্রতিশোধ নেননি। তিনি খোলা মনের ও উদার। অনেক টিভি চ্যানেল আছে। কিন্তু সরকারের মাত্র টিভি একটি চ্যানেল। সেখানে মানুষ কথা বলছে। অনেক পত্রিকা, যারা লিখতে পারছে। সেখানে তিনি কখনোই হস্তক্ষেপ করেন না। বরং কেউ সমালোচনা করলে তা ভালো। সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এ ছাড়া বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব সার্বভৌমত্ব থাকা উচিত।

Also Read: কেউ নির্বাচনে না এলে, তার মানে এটা নয় যে গণতন্ত্র নেই: প্রধানমন্ত্রী