বর্ষ বিদায় বর্ষ বরণ

ছায়ানটে চূড়ান্ত মহড়া

গতকাল মহড়া চলছিল রমনা বটমূলে। শনিবারও এই মহড়া হয় ছায়ানটের মূল মিলনায়তনে। প্রতিবারের মতো এবারও রমনা বটমূলে ভোরের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হবে—এটা তারই প্রস্তুতি।
শনিবার ছায়ানট ভবনে দেখা গিয়েছিল মিতা হককে। দূরে বসে কোরাসের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন তিনি। বললেন, ‘চূড়ান্ত মহড়া চলছে। এরপর আর সংশোধন করা যাবে না। যা হচ্ছে, সেটাই পরিবেশন করা হবে পয়লা বৈশাখে’।
‘ওরে বিষম দইরার ঢেউ’ গাওয়া শুরু হেলা। অন্য একটি গানে ভুল ধরিয়ে দিচ্ছিলেন পার্থ তানভীর নভেদ। সেই গানে ‘উচ্ছৃঙ্খল’ শব্দটির উচ্চারণ ঠিকভাবে হচ্ছিল না। চলল সেটা ঠিক করার সম্মিলিত চেষ্টা।
এ সময় কোরাসের সঙ্গে যোগ দেন লাইসা আহমেদ। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি। অনেকেই জানেন না, ১৯৬৭ সাল থেকে রমনা বটমূলে শুরু হওয়া এ আয়োজনে ছায়ানট খুব কমই এই গানটি পরিবেশন করেছে।
একক গান যাঁরা করছেন, তাঁরা ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুনের বাড়ি গিয়ে গানগুলো তৈরি করেছেন। মিতা হকও সন্জীদা খাতুনের কাছে একক গানের মহড়া দিয়ে এসেছেন, গাইবেন ‘ওরে ভাই মিথ্যা ভেবো না।’ তানিয়া মান্নান বাছাই করেছেন ‘আমি তোমার মাটির কন্যা’।
ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রতিবারই কোনো না কোনো বিষয়কে মুখ্য করে গান বাছাই করা হয়। এবারের বিষয় ‘শান্তি মানবতা ও মানুষের অধিকার’।
আজ সন্ধ্যায় ছায়ানট ভবনে একক ও সম্মেলক—দুই ধরনের গানের চূড়ান্ত মহড়া হবে।
শনিবার সন্জীদা খাতুন এসেছিলেন ছায়ানটে। বেলছিলেন, শরীরটা ভালো না। এবার হুইলচেয়ারে করে অনুষ্ঠানে যেতে হতে পারে।
নিজের পায়ে হেঁটে হোক আর হুইলচেয়ারেই হোক, সন্জীদা খাতুনকে যেতেই হবে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। তাঁকে ছাড়া কি এ অনুষ্ঠান পূর্ণতা পায়?