
যুবলীগের কর্মী সজীবকে গুলি করার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরিফ হোসেন ওরফে গ্রিল বাবু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার বিকেলে রাজধানীর তালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলেছে, গ্রেপ্তার আরিফ মূলত একজন চাঁদাবাজ। তাঁর সহযোগীদের নিয়ে তিনি শেওড়াপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
গত বুধবার রাতে রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়ায় এক সন্ত্রাসী সজীব হোসেন ওরফে লিংকন (২৭) নামের যুবলীগের এক কর্মীকে গুলি করা হয়। সজীব ঢাকা মহানগর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। তাঁর পিঠে ও ডান পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে। ওই ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের ভবন থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখতে পায়, পূর্ব শেওড়াপাড়ার হাজি আশরাফ আলী হাইস্কুলের সামনে একটি বাসার গ্যারেজে মোটরসাইকেল রাখার সময় পেছন থেকে সজীবকে একজন গুলি করেন। হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসেছিলেন। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল।
স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, আরিফের সহযোগী শিহাব উদ্দিন, রাজীব, শুক্কুর আলী, হেলাল উদ্দিন ও শরিফ এলাকায় চাঁদাবাজির পাশাপাশি ছিনতাই করেন। কাফরুল থানার পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে শরিফকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ (জনি) শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি পুলিশ শুক্কুর ও রাজীবকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কিছু দিন আগে শুক্কুর ও রাজীব জামিনে মুক্ত হন। তাঁরা এখন এলাকায় আবার চাঁদাবাজি করছেন।
র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, র্যাবের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সেদিন আরিফ হোসেন সজীবকে গুলি করেন। ওই ঘটনায় কাফরুল থানায় করা মামলার তাঁকে আসামি করা হয়।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, আরিফ মূলত চাঁদাবাজ। তিনি তাঁর সহযোগীদের নিয়ে শেওড়াপাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদের ভয় দেখিয়ে ওই ভবনে গ্রিল বসানোর কাজ নেন। কিন্তু গ্রিল না বসিয়ে অস্ত্রের মুখে নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের কাছ থেকে পুরো কাজের টাকা আদায় করে আসছিলেন।