Thank you for trying Sticky AMP!!

ল্যাপটপের ব্যাগ পিঠে নিয়ে বেরিয়ে যান সাদমান

সাদমান সাকিব

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব ওরফে রাফিকে ৯ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদমান ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি বাসায় ফেরেননি।

সাদমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান। তিনি আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, থানা-পুলিশের পাশাপাশি একাধিক সংস্থা সাদমানকে উদ্ধারে কাজ করছে। বসুন্ধরায় সাদমানের বাসার আশপাশে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সাদমান ল্যাপটপের ব্যাগ পিঠে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। মনে হচ্ছে, কোথাও গিয়ে তিনি আত্মগোপন করেছেন। এ কারণে তাঁর খোঁজ পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।

এদিকে ছেলের খোঁজ না পেয়ে সাদমানের মা মনোয়ারা বেগম উৎকণ্ঠিত। আজ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলের তেমন কোনো বন্ধুবান্ধব নেই। কোথাও গিয়ে লুকিয়ে থাকার মতো ছেলেও সে নয়।

সাদমানের নিখোঁজের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এক প্রতারক সাদমানকে ফেনীতে পাওয়া গেছে বলে তাঁর মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আট হাজার টাকা নেন। ওই প্রতারক জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ব্যাচমেট পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। তিনি সাদমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতারকের অবস্থান জামালপুরে। তাঁকে ধরতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছে।

মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সাদমান গত সেপ্টেম্বরে দেশে আসার পর তিনি পরিবারের সঙ্গে বসুন্ধরায় থাকতেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাঁর মালয়েশিয়ায় ফেরা হয়নি।