
রাজধানীতে জব্দ হওয়া স্কুফ নামের মাদক ফেনসিডিলের মতোই ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কর্মকর্তারা। শুক্রবার রাতে খিলগাঁওয়ের নাগদারপাড় সেতুসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮৪ বোতল স্কুফ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জুয়েল (৩০), হুমায়ুন কবির (৩০), মো. সাদেক (২৫) ও মো. লিটন (৩৫)। শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ডিবি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল।
স্কুফ জব্দের বিষয়ে শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এ ধরনের মাদক দেশে এই প্রথম ধরা পড়ল। এগুলো ওষুধ বলা হলেও ওষুধ নয়। এগুলো মাদক।’
অভিযান তদারকি কর্মকর্তা ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্কুফ সিরাপ মূলত ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। ‘স্কুফ’ কফ সিরাপ নামে পরিচিত। বোতলের গায়ের লেবেল অনুযায়ী, ভারতের ‘ল্যাবোরেট ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এগুলো তৈরি। সীমান্তের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে একটি পিকআপে শাকসবজির আড়ালে এসব মাদক ঢাকায় আনা হয়েছিল। প্রতি বোতল ৬০০ টাকা করে কিনেছিলেন গ্রেপ্তারকৃতরা।
ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এসব সিরাপ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বোতলপ্রতি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে ১০ বস্তাভর্তি ২০০ কেজি গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাঁদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।