
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার তদন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে এই মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। অভিযোগপত্র দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি বলতে চাই, আমরা চেষ্টা করব এ অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন করতে। সেই তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হবে।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্ত একটি জটিল কাজ। ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিই। পরে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী সাত দিনে তদন্ত শেষ করে চেষ্টা করব পুলিশের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ ব্রিফ দিতে।’
পুলিশের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই জানিয়ে শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়েছি; কিন্তু তদন্তের খাতিরে সব বলতে পারছি না। তবে মনে করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটার মূল ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। রোববার বিকেল তিনটায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এ–সংক্রান্ত একটি বিশেষ সভা হবে।
এর আগে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলমসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।