রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে জামায়াতের অন্তত ১২ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা মসজিদের ভেতর ও বাইরে লাঠি হাতে নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে ব্যানার–ফেস্টুন খুলে ভাঙচুর করেন। তাঁরা গায়েবানা জানাজা পড়ার চেষ্টাও করেন। এ সময় জামায়াতের নেতা–কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেন।
লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (৮৪) গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাঈদী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। তিনি জামায়াতের রাজনীতির পাশাপাশি ওয়াজ করা বা ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
রাতে সাঈদীর মৃত্যুর খবর শুনে জামায়াতের বহু নেতা–কর্মী শাহবাগ এলাকার সড়ক ও বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা সাঈদীর মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিতে চাইলে তাঁরা বাধা দেন। ঢাকার পুলিশ কমিশনারের ভাষ্য মতে, জামায়াত–শিবিরের কয়েক হাজার নেতা–কর্মী রাতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তাঁদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করা হয়। পরে ভোরের দিকে সেখান থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ পিরোজপুরে নিয়ে দাফন করা হয়েছে।