মোট ১ হাজার ৫০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন এবারের আয়োজনে
মোট ১ হাজার ৫০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন এবারের আয়োজনে

পরিবার, ফিটনেস আর উৎসব-একসঙ্গে ফ্যামিলি রানার্স ৭.৫ কিলোমিটার রান ২০২৫

সকালের শিশিরভেজা ঘাস, দিগন্তে উঠতি সূর্য আর দৌড়ের উচ্ছ্বাসে মুখর রাজধানীর এক প্রভাত। এমনই প্রাণবন্ত দৃশ্য ছিল ‘জি-১ অ্যাডভান্স প্রেজেন্টস ফ্যামিলি রানার্স ৭.৫ কিমি রান ২০২৫’–এর সকালে।

ভোর ৫টা ৩০ মিনিট থেকেই অংশগ্রহণকারীদের ভিড় জমতে শুরু করে। কেউ পরিবারের সঙ্গে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে হাজির হন উৎসবমুখর পরিবেশে। ঠিক সকাল ৬টায় উষ্ণায়নের পর শুরু হয় দৌড়, যা চলে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

মোট ১ হাজার ৫০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন এবারের আয়োজনে—পুরুষ ১ হাজার ৭৩ জন, নারী ২১৮ জন এবং শিশু ২০৯টি। এ ছাড়া প্রায় ১৪০টি পরিবার একসঙ্গে অংশগ্রহণ করে, যা এই আয়োজনে এনে দেয় এক অনন্য পারিবারিক বন্ধনের রূপ।

দৌড়ের প্রতিটি ধাপে অংশগ্রহণকারীদের পাশে ছিল সার্বক্ষণিক মেডিকেল সাপোর্ট, অ্যাম্বুলেন্সসহ অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল। আর পাঁচটি হাইড্রেশন পয়েন্টে ছিল পানি ও এনার্জি ড্রিংকসের ব্যবস্থা।

পরিবারসহ রেজিস্ট্রেশনকারীদের জন্য ছিল বিশেষ ক্রেস্ট, আর ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট। বিজয়ীরা পান ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার।

ইভেন্টের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রানিং জগতের পরিচিত মুখ খবীর উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল এবং দৌড়বিদ মো. খায়রুল ইসলাম।

আয়োজক মফিজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সালমা আক্তার ঝিনুক সার্বিকভাবে পুরো অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান করেন। মফিজুল ইসলামের ভাষায়, ‘এটা শুধু দৌড় নয়, এটা পরিবার, ফিটনেস আর একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার উৎসব।’

ইভেন্টে ১১ জন পেসার দায়িত্ব পালন করেন—২ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ। তাঁদের মধ্যে পেসার মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘এই আয়োজন প্রমাণ করে, দৌড় শুধু ফিটনেস নয়, এটি জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রতীক।’

আয়োজনটির টাইটেল স্পনসর ছিল জি–১ অ্যাডভান্স ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর। সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে ছিল আমানত ফুডস, আর অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল প্রথম আলো। মেডিক্যাল পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিকস সেন্টার লিমিটেড, আর আইসক্রিম পার্টনার ছিল স্যাভয় আইসক্রিম।

টিভি মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল যমুনা টিভি এবং কমিউনিকেশন পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল আরসা (এআরএসএ)। স্ন্যাকস পার্টনার ছিল ডেকো টেস্টি অ্যান্ড হেলদি, ড্রিংকস পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে আলট্রা, আর টাইমিং পার্টনার ছিল টোটাল অ্যাকটিভ স্পোর্টস।

এ ছাড়া ভিডিও কনটেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে আপসাইট বাংলাদেশ, গার্মেন্টস পার্টনার ছিল অ্যাডভারগো, নিউট্রিশন পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল সিক্সার্স চকলেট এবং ভলান্টিয়ার পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে কিউটিএস (কোয়ালিটি ট্রেইনিং সলিউশন)।