
সকাল শুরু হয়েছিল রুবিকস কিউব মেলানোর মধ্য দিয়ে। এরপর গান, জাদু ও বিটবক্সের তালে মাথা দোলানো। আর বিজয়ী ঘোষণার সময় হয়ে আসছে। চিন্তাও বাড়ছে, কী হবে!
আজ শনিবার রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল প্রাঙ্গণে চলছে ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় গণিত উত্সব ২০২৫’ ও ‘২৩তম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড’। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের আজ ছিল শেষ দিন। আজ হবে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব।
‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’—এই স্লোগান নিয়ে ২৩তম এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারের বেশি শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার উৎসবের উদ্বোধন হয়। গতকাল ছিল জাতীয় পর্বের পরীক্ষা ও নানা আয়োজন।
জাতীয় উৎসবের শেষ দিনে রুবিকস কিউব মেলানোর প্রতিযোগিতা দুই রাউন্ডে হয়। এরপর পারিবারিক ব্যান্ড দল ‘এসেইস’ গান পরিবেশন করে। মঞ্চে এসে রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জেতার অভিজ্ঞতা শোনায় ৮ বছরের আরিয়েত্তি ইসলাম। তামজিদ রহমান রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সেতুবন্ধ ‘ব্লাডলিংক’ নামে একটি অ্যাপ বানানোর অভিজ্ঞতা জানায়।
একেক পর্ব শেষ হচ্ছিল আর মঞ্চ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষার ফল নিয়ে আসবেন বিচারকেরা।
শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম মজার পার্ট ছিল স্বপন দিদারের জাদু। এরপর হয় বিটবক্সের পরিবেশনা।
আয়োজকেরা জানান, চলতি বছর জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দল নির্বাচন করা হবে। এবার সারা দেশ থেকে ৭৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ২০০ জন জাতীয় পর্বে প্রতিযোগিতা করছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এই উৎসবের আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে আইসক্রিম পরিবেশন করে সেভয়। এ ছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সহযোগিতায় ছিল ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
গতকাল গণিত অলিম্পিয়াডের পাশাপাশি ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং, সুডোকু, রুবিকস কিউব, রোবোটিকস কর্মশালা, প্রদর্শনী দাবা খেলা ও ড্রোন ওড়ানোর হাতেখড়ি।