Thank you for trying Sticky AMP!!

এ সময় যানবাহনে সতর্কতা

দেশে সাধারণ ছুটি শেষে খুলছে সব অফিস-আদালত। চালু হচ্ছে গণপরিবহনও। তাই বলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়নি। কাজেই সুস্থ থাকতে যানবাহন ব্যবহারে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে: 

• সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি সব ধরনের যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যেমন মাস্ক পরা, সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া, নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ না করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি।

• রেলস্টেশন, বাসস্টেশনে ওয়েটিং রুমে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করুন।

•  যানবাহনে ওঠার আগে লাইনে দাঁড়ান পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে। ঘরের বাইরে, বিশেষ করে জনসমাগমস্থলে থাকা অবস্থায় কোনোমতেই মাস্ক খুলবেন না।

• যানবাহনে ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন। এই ব্যবস্থা বাস বা যানবাহন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই থাকার কথা।

•  যানবাহনে গাদাগাদি করে না বসে প্রতি দুই যাত্রীর মাঝে একটি আসন ফাঁকা রেখে বসুন।

•  বারবার হাত পড়ে এমন জায়গা যেমন বাসের দরজার হাতল, সিটের সামনের রেলিং ইত্যাদি বারবার জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এটিও যানবাহন কর্তৃপক্ষেরই করার কথা। যাত্রা শুরুর আগে বিষয়টি যাচাই করে নিন।

•  চালক ও তাঁর সহকারী আলাদা প্রকোষ্ঠে থাকবেন। এই ব্যবস্থা না থাকলে পলিথিন বা কাচ দিয়ে প্রকোষ্ঠ তৈরি করে তাঁদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

•  গাড়িতে একাধিক দরজা থাকলে যাত্রীরা পেছনের দরজা ব্যবহার করবেন। এতে চালক ও তাঁর সহকারী কিছুটা নিরাপদে থাকবেন।

•  যানবাহনে এবং যানবাহনের জন্য অপেক্ষার জায়গায় করোনার লক্ষণ ও স্বাস্থ্যবিধি ছবির মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে। নাগরিক ও যাত্রী হিসেবে বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব আপনারও।

•  যানবাহনে ওঠার আগে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যানবাহন কর্তৃপক্ষই এই ব্যবস্থা করবে।

•  যাত্রা শেষে যানবাহন কর্তৃপক্ষ গাড়ির আসন, মেঝেসহ সব জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন), গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা