করোনায় ঢাকার বাইরে বেশি মৃত্যু কুমিল্লায়

সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা পরিস্থিতির যে বিবরণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিয়েছে, সেখানে এই চিত্র উঠে এসেছে।

করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আমেনা বেগম। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা, ২৬ জুলাই।
ছবি: দীপু মালাকার

করোনায় এক দিনে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লা জেলায়। নতুন রোগী শনাক্তের দিক দিয়েও ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরই রয়েছে এই জেলা।

সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা পরিস্থিতির যে বিবরণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিয়েছে, সেখানে এই চিত্র উঠে এসেছে। এ সময় সারা দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৭ জনের, যা মহামারি শুরুর পর এক দিনে সর্বোচ্চ। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১৫ হাজার ১৯২ জন। এটাও এক দিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের ঘটনা।

এই ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। ঢাকা মহানগর ও উপজেলাগুলো মিলিয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লা জেলায়, ২৭ জনের। আর কোনো জেলায়ই মৃত্যুর সংখ্যা ধারেকাছে নেই। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়, ১২ জনের। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ১২ ও সিলেটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি সব জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা এক অঙ্কে।

বাংলাদেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপট প্রথম শুরু হয়েছিল রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে মারা গেছেন ২১ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী জেলায়। আর খুলনা বিভাগে এ সময় মারা গেছেন ৪৬ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুষ্টিয়ায়। এরপর যশোরে ৯ ও খুলনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। মহানগর ও উপজেলা মিলিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪০। এরপর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে, ৮৪৮ জন। আর কুমিল্লা জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭০১ জন।

এরপর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বরিশালে ৩৮২, রাজশাহীতে ২৬৭, গাজীপুরে ২৫৭, খুলনায় ২৫৩, কুষ্টিয়ায় ২২৩, সিলেটে ২৪৯ জন, নরসিংদীতে ২৪০, টাঙ্গাইলে ২১৩ ও পাবনায় ২০২ জন।