ট্রাম্প জিতলে তা হবে অবর্ণনীয় বিপর্যয়: নোয়াম চমস্কি

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নোয়াম চমস্কি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নোয়াম চমস্কি

করোনাভাইরাসে প্রতি ৪৭ সেকেন্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে মারা যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশটি কীভাবে করোনাভাইরাস মহামারির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো? মার্কিন বুদ্ধিজীবী চিন্তাবিদ ও লেখক নোয়াম চমস্কি ইতিহাসের এই অভূতপূর্ব মুহূর্তটি এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপর্যয়কর করোনাভাইরাস প্রতিক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড় থেকে বার্নি স্যান্ডার্স সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং সামনের সারির চিকিৎসাকর্মী এবং প্রগতিশীল সংগঠনগুলো কীভাবে তাঁকে আশা দিচ্ছে, সে বিষয়ে মার্কিন নিউজ প্রোগ্রাম ডেমোক্রেসি নাউর সঙ্গে কথা বলেছেন চমস্কি।

ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক অ্যামি গুডম্যানের সঙ্গে সমসাময়িক ঘটনা ও নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন নোয়াম চমস্কি। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প যদি আবার নির্বাচিত হন তবে এটি হবে একটি অবর্ণনীয় বিপর্যয়। এর অর্থ হলো, মার্কিন জনগণ এবং বিশ্বের কাছে গত চার বছরের চরম ধ্বংসাত্মক নীতিগুলো অব্যাহত থাকবে এবং সম্ভবত আরও ত্বরান্বিত হবে। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য আরও খারাপ অবস্থা হবে। আজ যে বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলছে না, সেই পরিবেশ বিপর্যয় বা পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি জন্য এটা মারাত্মক হয়ে দাঁড়াবে। আর জো বাইডেন নির্বাচিত হলে প্রত্যাশা থাকবে অন্তত বারাক ওবামার ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে। এটা খুব দুর্দান্ত কিছু না হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক হবে না। মানুষকে চাপে ফেলার পরিবর্তে তাদের একত্র করার একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

বার্নি স্যান্ডার্স প্রসঙ্গে মার্কিন এ রাজনীতি বিশ্লেষক বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেনে বার্নি স্যান্ডার্স। তাঁর ক্যাম্পেইনটি ব্যর্থ হয়েছে সাধারণভাবে এটা বলা হচ্ছে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, এটি একটি অসাধারণ সাফল্য ছিল, যা বিতর্ক এবং আলোচনার অঙ্গনকে পুরোপুরি সরিয়ে নিয়ে গেছে। কয়েক বছর আগে যে বিষয়গুলো কল্পনাতীত ছিল, তা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান দলের সমালোচনা করে চমস্কি বলেন, ‘মার্কিন সিস্টেমের গভীরে অনেক সমস্যা আছে। তিনি এটাকে আরও খারাপ করে তুলেছেন। সমস্যা আরও গভীরতর হয়েছে। যেমন উদাহরণ হিসেবে ভেন্টিলেটর বিপর্যয়ের কথা বলা যায়। ট্রাম্পের মেয়াদজুড়ে ডুমসডে ক্লকের কাঁটা মধ্যরাতের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। ডুমসডে ক্লক পৃথিবীর শেষ দিনের প্রতীকী ঘড়ি। আমাদের দেহকে ঘিরে ঘনিয়ে ওঠা নানা বিপদের মাত্রা অনুযায়ী চলাফেরা করে এই ডুমসডে ব্লকের কাঁটা। এ বছরের জানুয়ারিতে তা একটি সীমা পার করে যায়। রিপাবলিকান পার্টি এখন দানব পার্টি হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক কোনো গুণাবলি নেই। তাদের প্রভু যেটা বলে, সেটাই কেবল তারা প্রতিধ্বনি করে। তাদের স্বচ্ছতা শূন্যের কোঠায়। এটা দেখতে মজা লাগে। তাঁর চারপাশে ঘেরা স্তবকের দল, যারা শুধু তাঁর কথাই পুনরাবৃত্তি করে এবং তাঁর তোষামোদে ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে যদি খুব বেশি সহানুভূতিশীল প্রশাসন না হয়, তবু তাঁর কাছে পৌঁছানো যেতে পারে। তাঁকে চাপ দেওয়া যেতে পারে। যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

চমস্কি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ, যারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তথ্য দেয় না। কারণ তারা মনে করে, এটি ঠিকমতো কাজ করে না। এর পেছনে কাহিনি আছে। তথ্য দিলে কলঙ্কজনক হেলথকেয়ার সিস্টেমের চিত্রটা সামনে চলে আসবে। এমন কিছুর জন্য তারা সহজভাবে প্রস্তুত নয়। এটাকে সম্ভাব্য যতটা খারাপ করা যায়, তারা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। গত চার বছরের মেয়াদকালে ট্রাম্প সরকারের স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় বাতিল করেছেন। এর বিপরীতে পেন্টাগনকে আরও বড় করে তুলেছেন। আরও শক্তিশালী দেয়াল গড়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাজে লাগে যেসব বিষয় যেমন—স্বাস্থ্য খাত তা বঞ্চিত হয়েছে।’

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে ইঙ্গিত করে মার্কিন এ বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের বিপুল হুমকির মুখে রয়েছে বিশ্ব। আমরা যদি নতুন মহামারি এড়াতে বা প্রতিরোধ করতে চাই, তবে কমপক্ষে আমাদের মূল উৎসটির দিকে সবার আগে নজর দিতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের চিন্তা করাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে বছরের পর বছর ধরে বলে গেছেন। আমাদের সেই অতীতের দিকে তাকাতে হবে। সার্চ মহামারির দিকে তাকালে আমরা চিত্রটা দেখতে পাই। এর বিস্তারের শুরুতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তখন স্পষ্ট ছিল যে আরও মহামারি আসবে। কিন্তু জেনেবুঝেও এর পেছনে কেউ ছোটেনি। ওষুধ কোম্পানির মাথায় ছিল পুঁজিবাদী যুক্তি। তারা বাজারের সংকেত দেখে। লাভ না থাকলে সে পথে হাঁটে না। ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করে অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের জন্য কোনো ওষুধ প্রস্তুত করলে তাদের কোনো লাভ হতো না। সুতরাং তারা এ বিষয়ে আগ্রহী ছিল না। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতিতে পোলিওর মতো রোগ নির্মূল করা গেছে। সরকারের উদ্যোগ এবং অর্থায়নে পরিচিত একটি প্রকল্পে ভ্যাকসিন মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু সার্সের পর সরকার পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই মুহূর্তে নিউইয়র্কসহ অন্য জায়গায় চিকিৎসকদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে হচ্ছে। যদিও কে বাঁচবে আর কে মরবে এ সিদ্ধান্ত ভালো না। কিন্তু তাদের কাছে সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। তাদের অভাব হচ্ছে ভেন্টিলেটরের। ওবামা প্রশাসন ভেন্টিলেটর তৈরির চেষ্টা করেছিল। তবে তা শেষ হয় নাটকীয় বিপর্যয়ে। তারা চুক্তি করেছিল ছোট একটা কোম্পানির সঙ্গে যারা কমদামের ভেন্টিলেটর উৎপাদন করে। পরে ওই কোম্পানিটি বড় আরেক কোম্পানি কিনে নেয়। বড় কোম্পানিটি ব্যয়বহুল ভেন্টিলেটর তৈরি করে থাকে। তারা তাক লাগানো প্রকল্প চালু করে সরকারের আগের প্রকল্প বাতিল করে দেয়। প্রতিযোগিতায় আর কেউ থাক তারা সেটা চাইছিল না।’

চমস্কি বলেন, ‘ট্রাম্পের মেয়াদের আগেও মহামারির আতঙ্ক ছিল। তার প্রতিক্রিয়া ছিল এর প্রস্তুতি যথাসম্ভব পিছিয়ে দেওয়া। করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর পরেও তার কাছে এটি পাত্তা পায়নি। ১০ ফেব্রুয়ারি সমস্যা যখন মারাত্মক ছিল, ট্রাম্প তখন বাজেট নিয়ে ব্যস্ত। বাজেটে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোতে বাজেট কমানো হয়েছিল। বাজেট বাড়ানো হয়েছিল জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়টি। ট্রাম্পের একগুঁয়েমিতে মহামারি মোকাবিলা বা পরিবেশ বিপর্যয় রোধের প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে বারবার। অন্যান্য দেশের কাছেও তথ্য গোপন ছিল না। মানে যারা আগে ব্যবস্থা নিয়েছে, তারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ট্রাম্প মরিয়া হয়ে এখন এমন কিছু বলির পাঠা খুঁজছেন, যাকে তিনি তাঁর বিস্ময়কর ব্যর্থতা ও অক্ষমতার জন্য দোষ দিতে পারেন। সাম্প্রতিক তার উদাহরণ হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনকে বাঁশ দেওয়া। কিন্তু এর জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়।’

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। ছবি: রয়টার্স

চমস্কি বলেন, ‘ঘটনাগুলো খুব স্পষ্ট। গত ডিসেম্বরেই চীন খুব দ্রুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বিষয়টি জানায় যে, তারা নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গযুক্ত রোগী পাচ্ছেন তার উৎস অজানা। এক সপ্তাহ বাদে ৭ জানুয়ারি তারা এর উৎস হিসেবে চীনা গবেষকদের বের করা সার্স ভাইরাসের অনুরূপ করোনাভাইরাসের কথা জানায়। তারা এর জিনোম সিকোয়েন্স বের করার কথাও জানিয়ে দেয়। তারা সব তথ্য বিশ্বকে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাও বিষয়টি ভালোভাবে অবগত ছিল। তারা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে কাউকে কাউকে বড় মহামারি সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের কথা কেউ শোনেনি। ট্রাম্প হয়তো গলফ খেলছিলেন কিংবা তাঁর টিভির রেটিং কতো তা শুনতে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা পিটার নাভারো হোয়াইট হাউসে সত্যিকারের বিপদ সম্পর্কে শক্তিশালী বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার কথাতেও কর্ণপাত করা হয়নি।’

ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে নোয়াম চমস্কি বলেন, ‘মহামারির বিস্তারের মধ্যেও ১০ ফেব্রুয়ারি সরকারের স্বাস্থ্য–সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির বাজেট কাঁটছাঁট করলেন ট্রাম্প। তাঁর মেয়াদজুড়েই তিনি এ কাজ করে গেছেন। আজ এক কথা, কালকে এটির বিরোধিতা করে আরেক কথা। পরের দিন অন্য কোনো কিছু বলার বিষয়টি সত্যিই অসাধারণ। এর অর্থ তিনি যথার্থতা প্রমাণ করতে চেয়েছেন। যা–ই ঘটুক না কেন, সে তা বলেছে। আন্দাজে তির ছুড়তে থাকলে একটা না একটা লেগে যাবে বলে মনে করেছেন তিনি।’

আপনি ট্রাম্পকে দায়ী মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে চমস্কি বলেন, ‘কোনো প্রশ্নই নেই। ট্রাম্প কিছু পাগলাটে বিবৃতি দিয়েছেন। এটি ফক্স নিউজ ইকো চেম্বারের মাধ্যমে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরের দিনই তিনি আবার বিপরীত কথা বলেছেন। তাও আবার ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। মিডিয়া মোগল মারডক ও ট্রাম্প আক্ষরিক অর্থে দেশকে ও বিশ্বকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। আমাদের কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে ট্রাম্প ধ্বংসের যতটা কাছে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা অনেক বেশি হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি।’

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে চমস্কি বলেন, ‘ট্রাম্পের কিছু চ্যালাও আছে। গোলার্ধের দক্ষিণ অংশে তাকালে আরেক উন্মাদ দেখতে পাব। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট “ট্রপিকালের ট্রাম্প” বলে পরিচিত জাইর বোলসোনারো। কে গ্রহের সবচেয়ে খারাপ অপরাধী হতে পারে, তা দেখার জন্য ট্রাম্পকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ব্রাজিলিয়ানদের তিনি বলছেন, “এটা কিছুই না। নেহাত ঠান্ডা। ব্রাজিলিয়ানদের ভাইরাসে ধরে না। আমরা এর প্রতিরোধক্ষম।” তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা যেখানে বলছেন, “এটি মারাত্মক”। অবশ্য ভাগ্য ভালো দেশটির গভর্নর তাঁর কথায় কান দিচ্ছেন না। তবে ব্রাজিল মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি। রিওর বড় বস্তিতে সরকার মানুষগুলোর জন্য কিছু করেনি। এরপর আছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর উৎপাত। তারা এসব জায়গায় স্বাস্থ্যের মান ঠিক করে। আদিবাসী জনগণ ভার্চুয়াল গণহত্যার মুখোমুখি, যা বলসোনারোর গায়ে লাগে না। এসবের মধ্যেই বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রগুলো সতর্ক করে দিচ্ছে, ১৫ বছরের মধ্যে গড় কার্বন শোষক থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনকারী হিসেবে পরিগণিত হবে আমাজন। এটা ব্রাজিলের জন্য যেমন বিধ্বংসী, তেমনি সারা বিশ্বের জন্যও মারাত্মক।’

করোনাভাইরাসে ভালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাইওয়ান। ছবি: রয়টার্স

‘উত্তরে আমরা যেসব মহাশক্তিধর ব্যক্তিদের দেখতে পাই, যেসব সোসিওপ্যাথদের (মানসিক সমস্যাগ্রস্ত) ইচ্ছামাফিক দেশ ও বিশ্বের ক্ষতি করতে যা খুশি করার ক্ষমতা বিদ্যমান। দক্ষিণেও তা–ই। তবে অন্য দেশগুলো সংবেদনশীলভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের কয়েক জায়গায় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো প্রায় একে কুপোকাত করে ফেলেছে। কয়েক সপ্তাহের দ্রুত লকডাউন দিয়ে একে প্রায় আয়ত্তে এনে ফেলেছে। ইউরোপের দিকে তাকালে অধিকাংশ দেশেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা যাবে। কিন্তু ভালোভাবে যেসব দেশ সবকিছু সংগঠিত করতে পেরেছে, তারা সবকিছু ঠিক করে ফেলেছে। জার্মানির মেরকেল নিখুঁত, বাস্তব বিবরণী দিয়েছেন। জার্মান জনগণের সঙ্গে কথা বলছেন এবং ঠিক কী ঘটছে এবং কী করা উচিত, তা বর্ণনা করেছেন।’

চমস্কি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী ভ্যালেরিয়া আইসোলেশনের নিয়ম মেনে চলছেন। তাঁকে বিভিন্ন জনপ্রিয় সংস্থা ও দলগত প্রচেষ্টার বিভিন্ন কার্যক্রম আশার আলো দেখাচ্ছে। এমন কিছু বিষয় ঘটছে জানা সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো। এ মারাত্মক পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের অতিরিক্ত সময় ধরে সেবা দেওয়া মানবচেতনার সংস্থানগুলোর জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। অতীতের অনেক প্লেগের মতো রোগ আমরা কাটিয়ে উঠেছি। মানুষ কী করতে পারে বা কী করেছে, তার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। তার অনেক চিহ্ন আমরা আজও দেখতে পাচ্ছি। এটাই সে আশাবাদের ভিত্তি।