Thank you for trying Sticky AMP!!

আসামির জবানবন্দিতে পরিকল্পনাকারীর নাম

বান্দরবান

বান্দরবানের লামার সরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আলমগীর শিকদার হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন তিনজন। এদের একজন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার এক সাংবাদিক। ওই সাংবাদিক এই খুনের মূল পরিকল্পনাকারীও। এই হত্যা মামলার গ্রেপ্তার আসামি বীর বাহাদুর ত্রিপুরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে গিয়ে এই তথ্য জানান।

গতকাল শনিবার বেলা একটায় আসামি বীর বাহাদুর ত্রিপুরাকে বান্দরবানের বিচারিক হাকিম কামরুন নাহারের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে জবানবন্দিতে তিনি মো. আলমগীর শিকদার হত্যায় নিজের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামি বীর বাহাদুরের জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতে বীর বাহাদুর হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন। বিবরণ অনুযায়ী, এই হত্যাকাণ্ডে বীর বাহাদুর ত্রিপুরা, সায়মন ত্রিপুরা ও লোহাগাড়ার সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন সরাসরি অংশ নেন। হত্যায় সহযোগিতা করেছেন আরও চার–পাঁচজন। এদের কয়েকজনের নাম বীর বাহাদুর বলেছেন। বাকিদের তিনি চেনেন না। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. সেলিম উদ্দিন।

গত মঙ্গলবার রাতে সরই ইউনিয়নের হাসনাভিটা এলাকায় মো. আলমগীর শিকদারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই মানিক শিকদার গত বুধবার বাদী হয়ে লামা থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। 

লামা থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা বলেছেন, এ ঘটনায় বীর বাহাদুর ত্রিপুরা ও সায়মন ত্রিপুরা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বীর বাহাদুর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সায়মন ত্রিপুরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে এনেছে। কাল সোমবার তাঁর রিমান্ড শেষ হবে। পুলিশের কাছে সাইমন ত্রিপুরাও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। 

এদিকে, জবানবন্দিতে নাম আসায় মন্তব্য জানতে চেয়ে লোহাগাড়ার স্থানীয় সাংবাদিক সেলিম উদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।