বরগুনার আমতলীর এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোকেশনাল পরীক্ষার কেন্দ্রে উত্তরপত্র না দেখানোয় এক পরীক্ষার্থীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে আরেক পরীক্ষার্থী।
আহত ওই ছাত্রকে মঙ্গলবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা বলেন, উপজেলার এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভোকেশনাল ট্রেড-ওয়ান পরীক্ষা চলছিল। ওই কেন্দ্রের ৩ নম্বর কক্ষে কড়াইবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও আমতলী একে সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা চলাকালে কড়াইবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুলের এক পরীক্ষার্থীর কাছে উত্তরপত্র দেখতে চায় একে পাইলট স্কুলের আরেক পরীক্ষার্থী।
উত্তরপত্র দেখাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় পাইলট স্কুলের ছাত্র। পরীক্ষার কক্ষে বসেই সে শাসিয়ে দেয় অন্য ছাত্রটিকে। পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ামাত্রই পাইলট স্কুলের ছাত্রসহ সাত-আটজন টেকনিক্যাল স্কুলের ছাত্রকে মারধর করে।
পরে এ ঘটনায় আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। সাধারণ ডায়েরি করার খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সাতটার দিকে পৌর শহরের শাকিব প্লাজার সামনে পাইলট স্কুলের ছাত্ররা পুনরায় টেকনিক্যাল স্কুলের ছাত্রকে মারধর করে। তারা লোহার পাইপ দিয়ে ওই ছাত্রের মাথা ফাটিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে দেখে আছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, ওই পরীক্ষার্থীর মাথা আঘাতে ফেটে গেছে।
আহত ছাত্র বলে, পরীক্ষার কেন্দ্রে পাইলট স্কুলের ছাত্রটি তার খাতা চায়। সে উত্তরপত্র দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করেছে। থানার অভিযোগ দেওয়ার খবর পেয়ে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
আহত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে মারধর করায় সামনের পরীক্ষার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
আমতলী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন,যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।