Thank you for trying Sticky AMP!!

চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকা থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, যৌতুকের কারণে গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এক তরুণকেও আটক করা হয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, গৃহবধূর মৃত্যুর পেছনে পারিবারিক অশান্তি, নির্যাতন ও প্রেমঘটিত কারণ থাকতে পারে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম পপি খাতুন (২০)। গতকাল শুক্রবার পৌর এলাকার বুজরুক গড়গড়ি মহল্লায় পপির কক্ষ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন পপির স্বামী শাকিল আহমেদ (২৫), শ্বশুর আবদুল কাদের (৪৫) ও শাশুড়ি শিরিন আক্তার (৪০)।

পপির বাবা সদর উপজেলার আলোকদিয়া-রাজাপুর নতুনপাড়ার হামিদুল হক হত্যা মামলা করার পর গতকাল সন্ধ্যায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পপির স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি দাবি করেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী গ্রামের মজনুর রহমানের ছেলে সোহেল রানার (২০) সঙ্গে পপির পরকীয়া ছিল। এ ঘটনা থেকে পপি আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় সোহেল রানাকে।

পপির বাবার দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দেড় বছর আগে শাকিল ও পপি ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শাকিলের পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে পপির ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্যাতনের মুখে পপি বেশ কিছুদিন বাবার বাড়িতে অবস্থান নেন। গত বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে পপিকে নিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার দুপুরে থানা-পুলিশ পপির কক্ষ থেকে তাঁর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে মুঠোফোনে মেয়ের মৃত্যুর খবর তিনি জানতে পারেন।

বাদীর অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন করে হত্যার পর পপির লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পপির সারা দেহে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান প্রথম আলোকে জানান, পপি খাতুনকে হত্যার অভিযোগ জানিয়ে বাবা হামিদুল হক বাদী হয়ে পপির স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়িকে আসামি করে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না। মৃত্যুর সঙ্গে প্রেমঘটিত কোনো বিষয় জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।