Thank you for trying Sticky AMP!!

এক বছরের জামিন পেলেন ঝুমন, মুক্তিতে বাধা নেই

ঝুমন দাশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশ জামিন পেয়েছেন। জামিন চেয়ে ঝুমনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঝুমনকে এক বছরের জামিন দেন।

আদালত বলেছেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া এ সময়ে ঝুমন সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না।

ওই মামলায় ঝুমন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে তা গত ১৮ জুলাই নামঞ্জুর হয়। এরপর দায়রা আদালতে জামিন চান ঝুমন, যা গত ৩ আগস্ট খারিজ হয়। তারপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ঝুমন। এই আবেদনের ওপর ২১ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য রাখেন। আজ আদেশ দেন আদালত।

আদালতে ঝুমনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলতানা ও আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

পরে আশরাফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্ট ঝুমনকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন। ফলে তাঁর কারামুক্তিতে বাধা নেই।’ এ সময়ে আদালতের অনুমতি ছাড়া ঝুমন সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।

ঝুমন দাশের মুক্তির অপেক্ষায় তাঁর স্ত্রীসহ পরিবার

হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে ঝুমন।

গত ১৬ মার্চ ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তার আগে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করা হয়। তাঁকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ মার্চ তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।