নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় গোপালদী বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদীর জায়গা দখল করে বালু বিক্রি করছেন বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি। এতে ঘাট দিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে মেঘনার সরু একটি অংশ নরসিংদী সদর উপজেলার কদমতলী গ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দী গ্রামের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী, গাজীপুর, দাইরাদী, রামচন্দ্রদী, চান্দাকান্দি হয়ে নয়াবাদ গ্রামের পাশ দিয়ে পুনরায় মেঘনায় গিয়ে মিশেছে। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। ছয় বছর আগে আড়াইজার উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়া গোপালদী বাজার-গাজীপুর সেতুর উত্তর প্রান্তের শেষ পিলার (স্তম্ভ) থেকে মাঝের একটি পিলার পর্যন্ত নদীর প্রায় ৮ শতক জায়গা দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করেছেন। ওই জায়গায় বালু ফেলে ঢিবির মতো উঁচু করে এখন বিক্রি করছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার গোপালদী বাজার সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাজারের বড় মসজিদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু রয়েছে। সেতুর উত্তর প্রান্তে নদীর প্রায় ৮ শতক জায়গায় বালু ফেলে বিক্রি করছেন বাবুল মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া। এ সময় চার-পাঁচজন শ্রমিককে বস্তায় বালু ভরতে দেখা যায়। গোপালদী বাজারের ব্যবসায়ীদের নানা রকম পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করা হয় ওই ঘাট দিয়ে। ব্যবসায়ী আবদুল জলিল বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে বাবুল মিয়া নদীর জায়গায় বালু ফেলে বিক্রি করছেন। এতে ঘাটে মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
বালু ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, ‘ছয় বছর ধইরা নদীর জায়গায় বালু ফালাইয়া বিক্রি করতাছি, কেউ আমারে নিষেধ করে নাই। বাজারের যে ইজারাদার তাঁকে আমি নিয়মিত ইজারা দিতাছি।’
সদাসদি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান খান বলেন, ‘গোপালদী বাজারের পাশে মেঘনা নদীর জায়গা দখল করে বালু বিক্রি করা হচ্ছে—এমনটি আমি জানি না। আমি লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
আড়াইহাজার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল হক বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।