Thank you for trying Sticky AMP!!

পরিবারের পাঁচজনকে অ্যাসিডে ঝলসে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন আলী হোসেন

প্রতীকী ছবি

মা, দুই ভাই, এক বোন ও ভাগনেকে অ্যাসিড ছোড়ার পর নিজের গায়ে ঢেলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মো. আলী হোসেন (৪০) নামের এক যুবক। গ্রেপ্তার হয়ে এখন তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. আল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেছেন, আলী হোসেন মানসিকভাবে অসুস্থ। লালবাগের কাশ্মীটোলা লেনের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলার একটি ঘরে থাকেন তিনি। ঘরটি গোটা বাড়ি থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্ন। সেখানে থাকেন তাঁর মা, ভাই ও বোনেরা। মঙ্গলবার ভোরে সাহরির পর হঠাৎ আলী হোসেন চিৎকার করতে থাকেন এবং বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চান। আত্মীয়স্বজনেরা দরজা খুলে দিলে তিনি ভেতরে ঢোকেন এবং সবার গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এরপর তিনি নিজের গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেন।

ওয়্যারলেসে এই খবর পেয়েই উপপরিদর্শক ফয়সাল ঘটনাস্থলে যান এবং আলী হোসেনসহ অন্যদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এর মধ্যে প্রতিবেশীদের কেউ ৯৯৯–এ ফোন করেছিলেন। সেখান থেকেও পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে জানা যায়।  

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন আলী হোসেনের মা মোমেনা বেগম (৭০), ভাই আনোয়ার হোসেন (৫২) ও ইকবাল হোসেন (৪৫), বোন জামিলা আক্তার (৩০) এবং ভাগনে সালেহীন (১৬)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক হোসাইন ইমাম প্রথম আলোকে জানান, সালেহীনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার চোখেও আঘাত আছে। আলী হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়েছে। তাঁরও চোখে আঘাত আছে। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আলী হোসেন মাঝেমধ্যে ব্যাটারির কারখানায় কাজ করেন। অ্যাসিড সেখান থেকেই জোগাড় করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।