Thank you for trying Sticky AMP!!

পাইলট নিয়োগে দুর্নীতি হয়নি, দাবি বিমানের এমডির

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল। আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ নিয়ে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আজ তিনিসহ আরও চার কর্মকর্তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থার সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁরা হলেন বিমানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডি ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, বিমানের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা বিনীত সুধ, পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) আশরাফুল আলম ও পরিচালক (পরিকল্পনা) মাহবুব জামান খান। বিমানের প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান ফজল মাহমুদ চৌধুরীকে বেলা দুইটা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) পার্থ কুমার পণ্ডিত, পরিচালক (প্রকৌশল ও উপাদান ব্যবস্থাপনা) সাজ্জাদুর রহিম, পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মমিনুল ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বুশরা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কাল ৩০ জুলাই সাবেক এমডি আবদুল মুনীম মোসাদ্দিক আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা। বিমানের সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

এর আগে গত ২ মে বিমানের ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবর চিঠি পাঠায় দুদক। এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওসি (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।

যাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাঁরা হলেন বিমানের সাবেক এমডি আবদুল মুনীম মোসাদ্দিক আহম্মেদ, কনিষ্ঠ গ্রাউন্ড সার্ভিস কর্মকর্তা বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বিমানের সিবিএ নেতা মশিকুর রহমান, গ্রাউন্ড সার্ভিস পরিদর্শক জি এম জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান ও এ কে এম মাসুম বিল্লাহ, বাণিজ্যিক পরিদর্শক রফিকুল আলম ও গোলাম কায়সার আহমেদ, কনিষ্ঠ বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মারুফ মেহেদী হাসান এবং বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জাওয়েদ তারিক খান ও মাহফুজুল।