Thank you for trying Sticky AMP!!

বলাৎকারের পর মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয় মাদ্রাসাছাত্রটির

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে গতকাল বুধবার দুর্বৃত্তের হাতে নিহত মাদ্রাসাছাত্র আবির হোসাইনের (১১) বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মশিউর রহমানের পুকুর থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

খুলনা থেকে আসা বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করে। এ সময় জেলা পুলিশ সুপারসহ, পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল কয়রাডাঙ্গার নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হোসাইনের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সকালে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ মাদ্রাসার পেছনের একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে। মাথার সন্ধানে ঢাকা থেকে র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ফিরে যায়। আজ পুনরায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে মাথাটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুর রহমান আজ বলেন, গতকাল ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে যে শিশুটিকে হত্যার আগে বলাৎকার করা হয়েছে। তাকে দীর্ঘদিন ধরেই পাশবিক নির্যাতন করা হতো। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার মোহতামিম আবু হানিফসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে কেউ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেনি।

নিহত আবির ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। ছয় মাস আগে সে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। এদিকে আবিরের খুনের ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।