Thank you for trying Sticky AMP!!

বাক্‌প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

যশোরে বাক্‌প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টি এম মুসা এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান খাঁ। তিনি যশোর সদর উপজেলার সালতা গ্রামের আবুল কাশেম খাঁর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার সালতা গ্রামের একটি বাড়িতে কাজ করতেন বাক্‌প্রতিবন্ধী রত্না খাতুন (১৮)। সেই সূত্রে হাবিবুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ২০১৭ সালের ২৮ মে হাবিবুর ও একই গ্রামের মন্টু ডেকে নিয়ে যান রত্নাকে। এর তিন দিন পর ৩১ মে গ্রামের মেজের মোল্লার কবরস্থানে রত্নার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ফুলবাড়ি ক্যাম্পের পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় রত্নার বাবা শহর আলী শেখ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর ওই বছরের ১৪ জুন তিনি হাবিবুর রহমান খাঁ ও মন্টুকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ২ জুলাই কোতোয়ালি থানায় সেটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। পুলিশ হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তিনি রত্নাকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ হাবিবুর রহমান খাঁ, মন্টু ও একই এলাকার ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সরকারি কৌঁসুলি মোহা. আসাদুজ্জামান বলেন, হাবিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁদের খালাস দিয়েছেন।