Thank you for trying Sticky AMP!!

বাগমারায় ধর্ষণচেষ্টা ধামাচাপার মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা এবং এই ঘটনার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে করা মামলায় যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

চেয়ারম্যানের স্বজনেরা বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার ভাগনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠান। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গেলে তাঁকে বসিয়ে রেখে সন্ধ্যার পর বাগমারা থানায় স্থানান্তর করা হয়। চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে এমন খবর এলাকায় জানাজানি হলে দলীয় নেতা-কর্মী ও তাঁর অনুসারীরা থানায় ভিড় করেন। রাত ১২টার দিকে চেয়ারম্যানকে নিকটবর্তী মোহনপুর থানায় স্থানান্তর করে বাগমারা থানার পুলিশ। আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান বলেন, ৩ মে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান স্থানীয় এক বখাটে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে তিনি অভিযুক্ত বখাটেকে পরিষদে ডেকে সালিস বসান। অভিযুক্ত যুবককে কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বখাটের পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অথচ এই ধরনের বিচার মীমাংসা করার এখতিয়ার চেয়ারম্যান বা গ্রাম্য আদালতের নেই।

এদিকে এই ঘটনার কয়েক দিন পর বাগমারা থানার পুলিশ বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করে। ওই মামলায় বখাটেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মোস্তফা কামাল ইচ্ছা করেই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তথ্যটি গোপন রেখেছেন।

চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের আত্মীয়স্বজনদের দাবি, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার।