Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোর শহরে যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

ছবিটি প্রতীকী

যশোর শহরের খড়কি এলাকায় আল-আমিন (২৭) নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

দুর্বৃত্তরা রাত সাড়ে নয়টার দিকে আল-আমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রাত ১২টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আল-আমিনকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরও দুজন জখম হয়েছেন।

নিহত আল-আমিন যশোর শহরের খড়কি এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। আহত দুজন হলেন একই এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে আল-আমিন (২২) ও ইফাজ তুল্লাহ সর্দারের ছেলে সাহেব আলী (৪৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খড়কি এলাকায় বস্তির মতো একটি জায়গা কয়েকটি পরিবারের বসবাস। গতকাল রাতে নিহত আল-আমিনের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল–আমিনের মাথা ও পেটে কোপ দেয়। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান আল আমিনের পক্ষের ওই দুজন। এ সময় তাঁদেরও কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা আল-আমিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাহেব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার রাতে আল–আমিন বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় বাসিন্দা জামাল ও হীরার নেতৃত্বে ছয় থেকে সাতজন তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। ঠেকাতে গেলে আমাদেরও তারা আঘাত করে পালিয়ে যায়।’ তিনি জানান, জামাল, হীরাসহ কয়েকজনের সঙ্গে বালুর ব্যবসা করতেন আল–আমিন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই শত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যারা হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে আল-আমিনের একসময়ে মাদকের লেনদেন ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওই চক্র থেকে আল-আমিন সম্প্রতি বেরিয়ে আসে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এ ছাড়া এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়েও তাদের মধ্যে সংঘাত ছিল। এসবের জের ধরে আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।