রাজধানীতে তিন কেজি আফিমসহ দুজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার আবুল মোতালেব ও জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন ও বনশ্রী থেকে গতকাল শুক্রবার তিন কেজি আফিম উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএনসির কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হলেন আবুল মোতালেব ও জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া। মোতালেব জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। জাহাঙ্গীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

আজ শনিবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ডিএনসির ঢাকা উত্তরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, দেশে প্রচলিত তিন ধরনের মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল, মরফিন ও হেরোইন তৈরির মূল উপাদান আফিম। তবে এগুলোর কোনোটিরই উৎপাদন দেশে হয় না। আফিম সরাসরি মাদক হিসেবে ব্যবহার হলেও দেশে এর প্রচলন নেই।

জাফরুল্লাহ বলেন, আফিম আফগানিস্তানে উৎপাদন হয় এবং ভারতে এই মাদকের ব্যবহার বেশি। দেশে এই মাদক কীভাবে এল, এর গন্তব্য কোথায়—এসব তথ্য নিশ্চিত হতে আরও তদন্তের প্রয়োজন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন দাবি করেন, ওষুধশিল্পে কেমিক্যাল হিসেবে ব্যবহার হবে জেনে তাঁরা এগুলোর বাহক হয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে চক্রের আরও দুই সদস্যের তথ্য পাওয়া গেছে। পুরো চক্রকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জব্দকৃত আফিম

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে ডিএনসির অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, রাজধানীর পুরানা পল্টন লেন থেকে প্রথমে দুই কেজি আফিমসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে এক কেজি আফিমসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আফিমের চালানটি ফেনী থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। উদ্ধার আফিমের বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

জাফরুল্লাহ বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে আফিমকে ‘ক’ শ্রেণির মাদক বলা হয়েছে। কারও কাছে যদি ২৫ গ্রাম আফিম পাওয়া যায়, তাঁর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে।

আফিম গ্রহণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জাফরুল্লাহ বলেন, আফিম খেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, অচেতন হয়ে পড়তে পারে, মুখ ও নাক শুকিয়ে যেতে পারে, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। বেশি পরিমাণে সেবন করলে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।