Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু: গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত শিশু গৃহকর্মী জান্নাতীর বাবা জানু মোল্লা মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করেন।

মামলার দুই আসামি হলেন গৃহকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী রোকসানা পারভীন।

জান্নাতী (১২) নামের ওই গৃহকর্মী চার বছর ধরে ওই বাসায় কাজ করছেন। জান্নাতীর বাড়ি বগুড়ার গাবতলিতে। গত মঙ্গলবার ভোরে জান্নাতীর বাবাকে মেয়ে অসুস্থ বলে ঢাকায় ডেকে আনা হয়। ঢাকায় এসে দেখেন মেয়ে মারা গেছেন। তিনি মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দেখতে পান।

এ ঘটনায় ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আগেই হেফাজতে নিয়েছে।

চাকরি সূত্রে সাঈদ যখন বগুড়ায় ছিলেন, তখন আট বছর বয়সে জান্নাতী ওই বাড়িতে কাজ নেয়। এরপর সাঈদের পরিবার ঢাকায় চলে এলে জান্নাতীও তাঁদের সঙ্গে ঢাকায় আসে। সাঈদ বর্তমানে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

সাঈদ আহমেদ ও রোকসানা পারভীন।

স্যার সৈয়দ রোডের ৬/৫/এ নম্বর ভবনের একতলায় সাঈদ আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন।

জান্নাতীর বাবা জানু মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, গত মঙ্গলবার ভোরে ফোনে তাঁকে জানানো হয় তাঁর মেয়ে অসুস্থ। দেখতে চাইলে যেন তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসেন। খবর পেয়ে ঢাকায় এসে দেখেন মেয়ে মারা গেছে। তিনি বলেন, মেয়ের গায়ে তিনি অনেক দাগ দেখেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জি জি বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে ফোনে জানানো হয়, এক দম্পতি একটি মেয়েকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছেন।

পরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করে ও ময়নাতদন্ত করতে বলে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:

ছোট্ট শরীরে আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু নিয়ে রহস্য