Thank you for trying Sticky AMP!!

সাত দিনেও গ্রেপ্তার হননি পালিয়ে যাওয়া কয়েদি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার। ফাইল ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদিকে সাত দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ ও জেল কর্তৃপক্ষ। ফলে পালিয়ে যাওয়া ওই কয়েদি বড় ধরনের অপরাধ করতে পারেন বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

এদিকে কারাগারে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ইতিমধ্যে ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

পালিয়ে যাওয়া কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুর এলাকার তেছের আলী গাইনের ছেলে। আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এসেছিলেন একটি হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তাঁর সাজা সংশোধন করে তাঁকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হোসেন বলেন, কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে গতকাল বুধবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও আবু বকর সিদ্দিক আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন তাঁকে কারাগারের ৪০ সেল এলাকার ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর কিছুদিন তাঁকে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এতে আবু বকর কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে শিকলমুক্ত করে দেওয়া হয়। কারা চত্বরে তিনি অন্য বন্দীদের সঙ্গে অনেক সময় কাজকর্ম করতেন। ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় অন্যদের সঙ্গে মুক্ত ছিলেন আবুবকর। পরে বন্দীদের গণনাকালে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করা হয়।

কাশিমপুর কারাগার-২-এর জ্যেষ্ঠ সুপার জাহানারা বেগম জানান, আবু বকর সিদ্দিক জেলের ১৮ ফুট দেয়াল বেয়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাতক্ষীয়ায় তাঁর বাড়িতে লোক গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হোসেন কারা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, কারাগার থেকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করেছে। তাঁদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষীও আছেন।