Thank you for trying Sticky AMP!!

স্কুলছাত্র ময়নুল হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেপটিক ট্যাংক থেকে গত সোমবার স্কুলছাত্র ময়নুল রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

সোমবার রাতে ময়নুলের বাবা সুরত আলী বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ইতিমধ্যে এ মামলার প্রধান আসামি হুমায়ন কবিরকে শ্রীরামপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হুমায়ন কবীর (৩৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

ময়নুলের চাচা আফসার আলী জানান, ময়নুল প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সেদিন রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ১ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরকি গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও মীর্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ময়নুল (১৬) ঈদের আগের দিন ৩১ জুলাই বিকেলে লেখাপড়া শেষ করে বড় ভাইয়ের ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের দিকে আসে। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এ ঘটনার পরদিন ১ আগস্ট চাচা আফসার আলী সদর থানায় ময়নুল নিখোঁজ হয়েছে মর্মে একটি জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হুমায়ন কবীরকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করে ময়নুলের ইজিবাইকটি। তারপর হুমায়নের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার বাঁকাল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেপটিক ট্যাংক থেকে ময়নুলের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার ময়নুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।