
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই ভাই রাজীব ব্যাপারী ও সজীব ব্যাপারীকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজীব ও সজীবকে আজ বিকেলে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল রোববার ভোররাতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় এই দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, গতকাল ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে দুর্গাপুরের চায়না মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাজীব ও সজীব ব্যাপারী বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার প্রয়াত ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে, সম্পর্কে দুই ভাই। তাঁদের মধ্যে রাজীব মামলার ১০ নম্বর এবং সজীব ৭ নম্বর আসামি।
গত বুধবার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদকে হত্যা করে একদল লোক। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তাঁর শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।
লাল চাঁদ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে। নিহত লাল চাঁদের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১৫–২০ জনকে। এ মামলায় রাজীব ও সজীবকে গ্রেপ্তারের পর এখন পর্যন্ত মোট সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।