রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মোজাম্মেল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সেফায়েতুল্লাহ বুধবার এ আদেশ দেন।
এর আগে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কবিরুল ও মোজাম্মেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতন এলাকার একটি বাসা থেকে কবিরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর গুলশানে অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁদের ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার করার পর কবিরুল ও মোজাম্মেলের মুঠোফোন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাঁরা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। এ কাজে তাঁরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছেন।
কবিরুল হক নড়াইল-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত বছর গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির অনেক নেতার মতো কবিরুলও আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।